“আমি দক্ষিণ পশ্চিম বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গায় বড় হয়েছি। যখন ছোট ছিলাম, আমি আমার খেলনা দিয়ে ঘর বানাতে পছন্দ করতাম। একটির উপর আরেকটি রেখে ঘর বাড়ি ইত্যাদি বানাতাম। আমার আসে পাসে যা কিছু পেতাম তা দিয়ে কিছু একটা বানিয়ে ফেলতাম। আমার দাদী প্রায়ই বলতেন যে আমি বড় হয়ে একজন স্থপতি হব।
আমি মনে করি, তখন আমি বিশ্বাস করতাম কোন এক দিন বড় হয়ে আমি এক জন স্থপতি হবো। যাই হোক, যখন আমার এইচ. এস. সি এর ফলাফল আর্কিটেকচার স্কুলগুলির ভর্তির উপযোগী হলো না, আমি অন্য কিছু চিন্তা করতে বাধ্য হলাম। সেই সময়ে, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমি একটি আর্ট স্কুল-এ ভর্তি হতে চাই, আর তাই আমি দেশের সবচেয়ে ভাল আর্ট স্কুলে ভর্তি হলাম। আমার লক্ষ্য ছিল ঢাকা ইউনিভার্সিটির চারুকলায় ভর্তি হওয়া, এবং তা আমি পেরেছিলাম। বলার অপেক্ষা রাখে না, আমি অনেক অনমনীয় ছিলাম। আমার খুব গর্ব হতো এটা মনে করে যে, আমি দেশর এবং বৃহত্তর এশিয়ার সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটিতে ওরিয়েন্টাল আর্ট অধ্যয়ন করতে পেরেছি।
একটি গার্মেন্টস কারখানা সহ, (যা আমার শেষ কাজ ছিল) আমি অনেকগুল জায়গায় একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হিসাবে কাজ করেছি। বেশ কিছু বছর পরে, আমি আজ বাংলাদেশের একটি সংস্কৃতি সমৃদ্ধ সপে একটি ডিজাইনার হিসাবে কাজ করছি। আজ আমি যে জামাকাপড়গুলো ডিজাইন করি তা বাংলা সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলে। আমি এখন যা করছি, তা আমি করতে ভালোবাসি, আর আমি মনে করি না যে আমি অন্য কোথাও থাকতে চাই।”
– একজন বাংলাদেশী ডিজাইনার