“একটি সেলাই মেশিন ও মনে অনেকটুকু আশা নিয়ে, ১৮ বছর আগে আমি এখানে কাজ করা শুরু করেছিলাম। যাত্রাতে যেই কাপড়গুলো বিক্রি হতো, তার পুরোটা আমি তখন একাই বানাতাম। আমরা তখন অনেক ছোট ছিলাম। ঠিক ১৮ বছর পর, এখন আমরা পুরো দল সহ এখানে, যারা কাপড় কাটা, সেলাই আর বিভিন্ন বিভাগে বিশেষভাবে পারদর্শী। এখন আমি পুরো দলটিকে দেখাশোনা করি।
এটা আমার জন্য অনেক গর্বের ও আনন্দের বিষয় যখন আমাদের সুন্দর কাজগুলো যাত্রায় দেখানো হয়। ব্যপারটা আরও আনন্দের হয়ে উঠে যখন কেও আমাদের বানানো কাপড় পরে। একবার এরকম হয়েছিল, একটি অনুষ্ঠানে আমার একজনের সাথে দেখা হয়েছিল যে আমার সেলাই করা কাপড় পরে ছিল। তখন আমি তার কাছে গিয়ে বললাম “কাপড়টি আমি বানিয়েছিলাম”। সে শুনে খুব খুশি হয়েছিল আর বললো তার আমাদের কাজ খুব পছন্দ।
আমি ও আমার এক সহকর্মী গুলশানের থেকে বনানী শোরুমে একসাথে যাতায়াত করতাম। প্রতিদিন, আমরা অনেক মানুষ দেখতে পেতাম যারা যাত্রার পোশাক পরেছিল। খুবই বিনোদনের বিষয় ছিল আমাদের জন্য এটি। আমরা প্রতি দিন কমপক্ষে এরকম ২ থেকে ৩ জনকে দেখতে পেতাম।”